হাসিখুশি বা মন ভালো রাখলে কি ঘটতে পারে শরীরে।
![]() |
| Download |
ডিপ্রেশনকে আজ থেকে না বলুন কেননা ডিপ্রেশনে থাকলে হতে পারে আপনার অনেক বড় সমস্যা এমনকি মৃত্যুও যা হাজার টাকা খরচ করলেও সেটা ফিরে পাওয়া সম্ভব নয় । এখন থেকে আপনি থাকবেন ডিপ্রেশন মুক্ত হাসিখুশি এবং হেলদি,,
কি অবাক হচ্ছেন কথাটা শুনে তাহলে ঝটপট পড়ে নিন>>>>
শুরুতেই একটা কথা বলি মন যা চায় তা পায় না আর যা পায় না তা চায় না>>> হ্যা কথাটা একদম নিশ্চিৎ সত্যি । মন বড়ই একটা অদ্ভুত জিনিস কখন যে কি চায় সেটা মন ও জানেনা। জীবনে চলার পথে নানা রকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় আমাদের সব সময় তো ভালো পরিস্থিতি আসে তা নয় বরং খারাপ পরিস্থিতির মধ্যেও অনেক সময় থাকতে হয়.
এর জন্য নানারকম দুশ্চিন্তা হতাশা প্রতিনিয়ত ঘিরে ধরে আমাদেরকে । এগুলো থেকে মনকে মুক্ত করতে চাইলেও মুক্ত হতে পারে না বরং অনেক সময়ই সুখ-শান্তি আনন্দ সবকিছু যেন উধাও হয়ে যায় জীবন থেকে। কি করবো না করবো কিছুই বুঝতে পারি না ফলে জীবন হয়ে যায় হতাশার সাগর ।
জীবনের ম্যাক্সিমাম সময়টাতেই মনের মধ্যে অন্ধকার জুড়ে থাকে যেন কোনোভাবেই আলোর ছোঁয়ায় আসতে পারে না ফলে মন খারাপ থাকে। চিন্তা করবেন না আজকে মাত্র সাতটি টিপসের মাধ্যমে আপনাদের মন সব সময় ভালো থাকবে প্রফুল্ল থাকবে আপনারা হয়ে উঠবেন একজন সুখী মানুষ ।
*ইতিবাচক থাকুন ,,,,,
আমাদের জীবনের সাথে সবথেকে যেটা বেশি ঘটে থাকে সেটি হচ্ছে নেতিবাচক চিন্তা আমাদের মাঝে যেন ধরা দিতেই চায়না ইতিবাচক চিন্তাগুলো। যার কারণে আমাদের মন সবসময়ই খারাপ হয়ে থাকে দুশ্চিন্তা, হতাশা এবং মানসিক যন্ত্রণায় ভুগতে থাকি আমরা সবসময়।
তাই আমাদের প্রধান কাজ থাকবে ইতিবাচক চিন্তা করা নেগেটিভ চিন্তা থেকে বের হয়ে আসা।আপনি হয়তো বলতে পারেন আপনার সমস্যা অনেক তবে এটা প্রমাণিত আপনি যত নেগেটিভ চিন্তা নিয়ে থাকবেন ততই নেতিবাচক চিন্তা গুলো আপনাকে গ্রাস করে ফেলবে অর্থাৎ প্রতিটি সমস্যাকে যদি আপনি খারাপ দিক দিয়ে বিবেচনা করেন তাহলে আপনাকে খারাপের সাগরের মধ্যে ডুবে থাকতে হবে কখনো ভালোর মধ্যে আসতে পারবেন না ।
অথচ আপনি যদি ইতিবাচক চিন্তা করেন তাহলে আপনার মন থাকবে প্রফুল্ল । ইতিবাচক চিন্তা আপনাকে সব সময় নতুন নতুন সম্ভাবনা দেখাবে । ইতিবাচক চিন্তা নিজের প্রতি করবে বিশ্বাসী এবং আপনাকে গরে তুলবে আত্মবিশ্বাসী তাই সব সময় মন ভালো রাখতে ইতিবাচক চিন্তা করাটা খুবই জরুরী ।
*প্রান খুলে হাসুন >>>
আমাদের বিশ্বের প্রায় সমস্ত মনোবিদ , চিকিৎসক, বিশেষজ্ঞরা এক বাক্যে স্বীকার করেছেন যে শরীর ও মন দুটোই ভালো রাখতে হলে হাসির বিকল্প আর কিছুই নেই, প্রান খুলে হাসুন কেননা হাসি আপনাকে অনেক দিক দিয়েই উপকার করবে।
বলতে পারেন এই মুহূর্তে আপনি হাসাহাসি করার পরিস্থিতিতে নেই , তবুও আপনি যদি মনে শান্তি পেতে চান মনকে প্রফুল্ল রাখতে চান তাহলে পরিস্থিতি যাই হোক না কেন সবসময় কিছুটা হলেও হাসি খুশি থাকার চেষ্টা করুন ।
প্রয়োজনে ভালো বন্ধুদের সাথে কিছুক্ষণ আড্ডা দিতে পারেন, মজাদার ভিডিও দেখতে পারেন, মজাদার গল্প শুনতে পারেন, হাসি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে, হার্ট ভালো রাখতে ,ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে অনেক সাহায্য করে থাকে ।
*শরীর চর্চা করুন >>>>>
প্রতিনিয়ত শরীর চর্চা আমাদের শরীরকে রাখে সুস্থ,সতেজ ,ও রোগ মুক্ত, শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি আমাদের মনেও জোরালো উন্নতি সাধন করে শরীরচর্চা, গবেষকদের মতে প্রতিদিন শরীরচর্চা করার ফলে মনের দুশ্চিন্তা, হতাশা, অবসাদ ও মানসিক অস্থিরতা খুব দ্রুত পলায়ন করে, মনকে প্রফুল্লতায় ভরিয়ে রাখে।
*প্রার্থনা করুন >>>
বেশি বেশি প্রার্থনা করুন আপনি যে ধর্মেরই হোন না কেন প্রার্থনা আপনার জীবনে সুখ শান্তি বয়ে নিয়ে আসতে অনেক সাহায্য করে থাকবে। প্রার্থনা জীবনে শান্তি প্রদান করে, আপনার মানসিক হতাশা, বিষন্নতা, অস্থিরতা দূর করতে সাহায্য করে। কোন নির্জন স্থানে গিয়ে দু চোখ বন্ধ করে কিছুক্ষণ প্রার্থনা বা ধ্যান করুন, দেখবেন নিজেকে হাল্কা মনে হবে, মনে অনেক শান্তি পাবেন।
*পরিমাণ মতো ঘুমান>≥>>
ঘুম মানুষের শরীরের জন্য অপরিহার্য উপাদান যা মনকে ভালো রাখতে সাহায্য করে থাকে শতকরা নব্বই পার্সেন্ট l
চিকিৎসকদের মতে সুস্থ থাকার জন্য প্রাপ্তবয়স্ক একজন মানুষের দিনে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন, পরিমাণ মতো ঘুম না হলে শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে অসুস্থ হতে থাকে। ঠিকমতো ঘুম না হলে মানসিক বিষণ্নতা ও অস্থিরতা ভীষণ ভাবে বেড়ে যায় ।
*নিজেকে সময় দিন >>>>>>
নিজের মন মানসিকতা ভালো রাখতে প্রতিদিন অন্তত দিনের কিছুটা সময় নিজের জন্য রাখুন, এক্ষেত্রে সকাল বেলাটাকে বেছে নিতে পারেন, সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই কারোর সঙ্গে কোনো কথা না বলে নিজের প্রিয় স্মার্টফোন টিকে দুরে রাখুন, তারপরে বাড়িতে অথবা আশেপাশে কোনো নির্জন জায়গা বেছে নিন, সেখানে গিয়ে খানিকটা সময় কাটান ।
*বেশি করে বই পড়ুন>>>>
বই মনকে প্রফুল্ল রাখতে সর্বোচ্চ সহায়তা করে থাকে।অর্থ সম্পদ মানুষকে সুখী করতে পারে না একথা যুগ যুগ ধরে প্রমাণিত, তবে বই পড়লে যে সীমাহীন তৃপ্তি পাওয়া যায় একথা কেওই অস্বীকার করতে পারবে না , তাছাড়া পৃথিবীর প্রায় সমস্ত সফল ব্যাক্তিদের জীবনী দেখলে দেখা যায় তাদের বই পড়ার নেশা প্রবল, একটি ভালো বই আপনাকে অনেক নতুন জিনিস শেখাবে ।
ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান সময়টুকু দেবার জন্য !






2 Comments
vlo lagese😍
ReplyDeletethank you
ReplyDeletedo not share any link.
Emoji