#অনিয়মিত পিরিওড কি অনিয়মিত পিরিওড কেন হয়?
# কিভাবে বুঝবেন আপনার পিরিওড সমস্যা আছে কি না?
#অনিয়মিত পিরিওড কি স্বাভাবিক?
#অনিয়মিত পিরিওড এর ঘরোয়া প্রতিকার!
# অনিয়মিত পিরিওডে ডাক্তারের পরামর্শ কখন নিবেন?
#অনিয়মিত পিরিওডএ ডাক্তারের কাছে কোন কোন বিষয় জানাবেন?
#পিরিওড কিঃ একজন নারী যখন বয়ঃসন্ধিকাল কালে পা দেয় তখন তার শারীরিক ভাবে ও মানসিক ভাবে পরিপূণ হতে শুরু করে।সাধারণত ১২-১৪ বছর বয়সে এ প্রক্রিয়া শুরু হয়।
তা ৫০বছর বয়সে শেষ হয়। নারী শরীরে দূষিত রক্ত, বা সন্তান ধারণের জন্য প্রতিমাসে যে ডিম্বাণু তৈরিহয়, শুক্রাণু সাথে নিষক্ত না হলে ডিম্বাণু প্রতিমাসে রক্তপ্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যায় একে পিরিওড / মাসিক / ঋৃতুস্রাব/ মিনিস্টেশন বলে।
#অনিয়মিত পিরিওড কি- কি ভাবে বুঝবেন আপনার অানিয়মিত পিরিওড আছে কি না-
পিরিওড একটি নিখুঁত মাসিক চক্র যা ২৮ দিন পরপর হয় এবং ৪-দিন স্থায়ী হয়।২৯দিন পর পর হওয়া একটি হেলদি মাসিক এর দিক।
কিন্তুু যদি আপনার ২০-২১ দিন বা তার আগে পিরিওড হয় বা দেরিতে হয় তবে আপনার অনিয়মিত পিরিওড এর সমস্যা আছে।
অনিয়মিত পিরিওড মূলত হরমোনের ভারসাম্যহীনতার একটি লক্ষণ।
#অনিয়মিত পিরিওড কি স্বাভাবিক ঃ রেগুলার পেরিওড সার্কেলের গড় ২৮ দিন তবে আবহাওয়া ও বয়সের তারতম্য তার জন্য ২৪ থেকে ৩৮দিন রেগুলার ধরা হয়.।
অনিয়মিত পিরিয়ডের একটি অন্যতম কারণ অস্বাস্থ্যকর জীবনধারা। মনে রাখবেন অনিয়মিত পিরিয়ড আপনার শরীরের অন্যান্য রোগের লক্ষণ।
বছর এক দুবার অনিয়মিত পিরিওড স্বাভাবিক কিন্তু এটা দীর্ঘস্থায়ী হলে তা অস্বাভাবিক। এটা আপনার গর্ভাবস্থায় সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে।
*অনিয়মিত পিরিয়ড এন্ডোমেট্রিয়াসিস,পিসিওএস বা থাইরয়েড এর মত রোগের লক্ষণ।
*অনিয়মিত পিরিয়ড অজ্ঞতা ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারের একটি লক্ষণ.।
*আপনার পিরিওড চক্র শনাক্ত করে যদি অনিয়মিত থাকে তবে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের শরণাপণ হোন।
![]() |
#অনিয়মিত পিরিয়ডের কারণ -
১. ইস্টোজেন ও প্রজেস্টেরনঃ মানবদেহে অতি পরিচিত হরমোন। বয়ঃসন্ধিকাল ইস্টোজেন ও প্রজেস্টেরন হরমোনের অভাব থাকলে অনিয়মিত পিরিওড এর সমস্যা হতেপারে। এছাড়া জন্মো গত কারণেও এ সমস্যা হতে পারে।
২. পিসিওএস হরমোনঃশতকরা ৮-১০জন নারীর শরীরে এ হরমোন আছে।
এ হরমোন ওভারি থেকে ডিম্বাণু নির্গত হতে বাধাদেয় ফলে ডিম্বাণু ওভারির চারপাশে সিস্ট গঠনকরে জমা হয়ে হরমোনের তারতম্যতা নষ্ট করে ফলে অনিয়মিত পিরিওড হয়।
৩.অতিরিক্ত মানসিক চাপঃ আমাদের মস্তিষ্কে হাইপোথ্যালমাস নামক একটি অংশ আছে। যা শরীরের বিভিন্ন হরমোন নিঃসরণ করে।
আর এমন কিছু হরমোন তৈরিহয় যা মানসিক চাপের কারণ। অতিরিক্ত মানসিক চাপ ও অনিয়মিত পিরিওড এর একটি কারণ।
৪. থাইরয়েডের সমস্যা ঃ থাইরয়েড এর যেকোনো সমস্যার জন্য অনিয়মিত পিরিওড হতেপারে।
৫.অতিরিক্ত ওজন কমা বা বাড়াঃ চরম ওজন কমানোর ফলে শরীরের BMI ১৮-১৯ এর নিচে চলেঅাসে যা অনিয়মিত পিরিওড এরকারণ।
আবার অতিরিক্ত মোটা বা ওজন বেরেগেলে অনিয়মিত পিরিওড হতেপারে।
৬.খাবারে এলাজিঃ খাবারের সমস্যা থেকে অনিয়মিত পিরিওড হয়।
৭.আয়রণ এর ঘাটতি ঃ শরীরে অায়রণ এর ঘাটতি থাকলে অনিয়মিত সমস্যা
দেখাযায়।
আয়রণ এর জন্য প্রচুর শাক সবজি, ফলমূল, মাংস, বীজ, কচুশাক, লাল শাক খেতে হবে।
৮.অতিরিক্ত এক্সারসাইজ ঃ যেসব মেয়েরা অতি ভারি ব্যায়রাম কর থাকে, কঠোর ডায়েট ফলোকরে , তাদের অনিয়মিত সমস্যা হয় এমনকি পিরিওড বন্ধও হয়ে জেতে পারে। ২-৩মাস পর পর পিরিওড হতে পারে।
৯.অতিমাত্রার পিল খাওয়াঃ বিবাহিত মেয়েরা পিল দীঘদিন ধরে খাওয়ার পরে তা বাদদিলে অনিয়মিত পিরিওড দেখাযায়।
১০.প্রি - মনোপজঃ পিরিওড শুরু হওয়ার পর একটি নিদিষ্ট বয়সে এসে তা বন্ধ হয়ে যায়। সাধারণ ৫০ বছর বয়সে পিরিওড বন্ধ হয়েযায়াকে প্রি-মনোপজ বলে। এসময় অনিয়মিত পিরিওড হতে পারে।
১১. বেস্ট ফিডিংঃ যেসব মায়েরা সন্তানকে দুধ পান করান এই সময়টাকে বলে বেস্ট ফিডিং। এই সময় অনিয়মিত পিরিওড হতে পারে।
#অনিয়মিত পিরিওড ও পিরিওড এর সময় পেটে ব্যাথা সমাধান এর ঘরোয়া উপায়-
১. দারুচিনি ঃ গ্রিনটি বা লেবুর রসের সাথে দারুচিনি গুরাকরে মিশিয়ে তা পান করতে হবে।
এটা অনিয়মিত পিরিওড কে নিয়মিত চক্রে নিয়েআসবে ও পেটে ব্যাথা কমাবে।
২.ফল ও সবজিরজুসঃ গাজর পুুদিনা পাতা, করললার জুস পিরিওড নিয়মিত করে। ভিটামিন সি জাতিয় ফল ও খাবার খেতে হবে।
তবে আঙ্গুর ও গাজরের রস সবথেকে আদর্শ অনিয়মিত পিরিওড এর সমস্যা দূর করার জন্য।
৩.আদাঃ ১কাপ পানিতে ১চা চামচ আদা কুচি ৫-৭মিনিট ফুটিয়ে ১ চামচ চিনি বা মধু দিয়ে পান করলে অনিয়মিত পিরিওড এর সমস্যা দূরহয় ও ব্যাথা কমে।এটা ভরা পেটে খেতে হবে।
৪. জিরা ঃ ১ চামচ জিরা ১ কাপ পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রেখে তা পান করতে হবে।নিয়মিত সেবন করলে ফল পাবেন।
ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।
৫.কাঁচা পেঁপে ঃ পিরিওড এর সময় কাচা পেঁপে খেলে অনেক উপকার করে।
৬.অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার ঃ রক্তে ইনসুলিন ও সুগার এর তারতম্য তার করণ অনিয়মিত পিরিওড এর অন্যতর কারণ। ২ চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার ১ গ্লাস পানিতে মিশিয়ে পান করলে রক্তে ইনসুলিন ও সুগার নিয়ন্ত্রণ করে নিয়মিত পিরিওড হতে সাহায্য করে। খাবার খাওয়ার অাগে এটা পান করতে হবে।
# ডাক্তারের পরামর্শ কখন নিবেন!?ও কি কি বিষয় গুলো ডাক্তার কে বলবেন?-
১. সমস্যা অনেক দিন এর পুরনো হলে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তার এর পরামর্শ নিন।
২.ঘরোয়া ভাবে সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করেও কোনো কাজ না হলে।
৩. পিরিওড টানা ৩ মাস বা তার বেশিদিন বন্ধ থাকলে।
৪.৪০ বছর বয়সে বন্ধ হলে ও ৫৫বছর পার হয়ে যাওয়ার পরেও পিরিওড হলে।
৫. পিরিওড ২১ দিনের সাকেল হলে।
৬. অনিয়মিত পিরিওড এর ফলে সন্তান ধারণ করতে না পরলে।
৭.অতিরিক্ত পেটে ব্যাথা বা ব্লিডিং কম হলে বা অতিরিক্ত বেশি হলে।
৮. ১ সপ্তাহের বেশি দিন পিরিওড থাকলে।
(এগুলো ছারাও আপনার কোনো সমস্যা থাকলে তা লক্ষ করে সেই অনুযায়ী ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কোনো বিষয়ে সংকোচ না করে)
পিরিওড এর সমস্যা কমবেশি সবমেয়েরি থাকে। তবে ২- ১ বার অনিয়মিত হলে ভয়ের করণ নেই এটা ঠিকহয়ে যাবে। তবে অনেক মেয়ে আছে যারা এটাটে গুরুত দেয়না বা সংকোচ করে কাউকে বলেনা এটা সবথেকে বড় ভুল । অনেক রোগ হতেপারে। তাই দীঘদিন অনিয়মিত পিরিওড এর সমস্যা থাকলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুণ।








1 Comments
thank you
ReplyDeletedo not share any link.
Emoji